বাংলাদেশের বনজ সম্পদ
১. কোন দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সেই দেশের কতভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
উত্তর:-শতকরা ২৫ ভাগ।
২. সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের মোট ভূমির কত শতাংশ বনভূমি রয়েছে?
উত্তর:-১৭.৫০% (প্রায়)।
৩. মোট কতটি জেলায় রাষ্ট্রীয় নেই ?
উত্তর:- ২৮ টি জেলায়।
৪. বাংলাদেশের বনভূমিকে কয় অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর:-৪টি অঞ্চলে। যথা: ১) পাহাড়ি বনাঞ্চল, ২) ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, ৩) সমতল এলাকার শালবন, ৪) গ্রামীণ বন।
৫. বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ কত?
উত্তর:-২৫ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কি.মি. (প্রায়)।
৬. বাংলাদেশে মাথাপিছু বনভূমির পরিমান কত?
উত্তর:-০.০২ হেক্টর।
৭. FAO-এর মতে বাংলাদেশে মোট ভূমির কত শতাংশ বনভূমি রয়েছে?
উত্তর:-১০% (প্রায়)।
৮. পাহাড়ি বনাঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর:-১৫,৬৬,৯৩৫ একর।
৯. ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর:- ১৪,০৫,০০০ একর।
১০. শাল বনাঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর:- ২,৮১,৯৩৫ একর।
১১. গ্রামীণ বন এলাকার আয়তন কত?
উত্তর:-২,৭১১ বর্গ কি.মি. (প্রায়)।
১২. একক হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন কোনটি?
উত্তর:-সুন্দরবন।
১৩. অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন কোনটি?
উত্তর:-পাহাড়ি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম বনাঞ্চল।
১৪. বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল কোনটি?
উত্তর:-মধুপুর বনাঞ্চল।
১৫. সুন্দরি গাছ কত দীর্ঘ হতে পারে?
উত্তর:-৪০ থেকে ৬০ ফুট।
১৬. বাংলাদেশের ব্যবহৃত কাঠের কত ভাগ সুন্দরবন থেকে আসে?
উত্তর:-৬০ ভাগ।
১৭. বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে কতটি জেলাতে কোন রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই?
উত্তর:-২৮টি জেলায়]]
১৮. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বনভূমি রয়েছে কয়টি জেলায় ও কী কী?
উত্তর:-৭টি জেলায়[] যথা: (১) চট্টগ্রাম, (২) রাঙামাটি, (৩) বান্দরবান, (৪) কক্সবাজার, (৫) খুলনা, (৬) বাগেরহাট ও (৭) সাতক্ষীরা।
১৯. মধুপুরের বনাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর:-গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়।
২০. মধুপুরের বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কী?
উত্তর:-শাল।
২১. ভাওয়ালের বনাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর:-গাজীপুর জেলায়।
২২. বাংলাদেশের দীর্ঘতম বৃক্ষ কোনটি?
উত্তর:-বৈলাম বৃক্ষ (উচ্চতা ২৪০ ফুট প্রায়)।
২৩. বৈলাম বৃক্ষ কোথায় জন্মে?
উত্তর:-বান্দরবান বনাঞ্চলে।
২৪. কোন জাতীয় গাছ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়?
উত্তর:-বাঁশ জাতীয় গাছ।
২৫. বাংলাদেশে কোন জাতীয় গাছ নতুন আমদানি করা হয়েছে?
উত্তর:- ইপিল ইপিল ও নীলগুল মোহর।
২৬. পরিবেশ রক্ষায় কোন গাছটি ক্ষতিকর?
উত্তর:-ইউক্লিপটাস।
২৭. ‘উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী‘ বনাঞ্চল কয়টি জেলায় করা হয়েছে?
উত্তর:-১২টি।
২৮. বাংলাদেশে বন গবেষণা কেন্দ্র কোথায়?
উত্তর:-চট্টগ্রামে।
২৯. পেন্সিল তৈরি হয় কোন কাঠ থেকে?
উত্তর:-ধুন্দল।
৩০. বাক্স ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি প্রস্তুত হয় কোন কাঠ থেকে?
উত্তর:-গেওয়া।
৩১. কোন গাছের ছাল থেকে রং প্রস্তুত করা হয়?
উত্তর:-গরান।
৩২. গোলপাতা কী কাজে লাগে?
উত্তর:-ঘরের ছাউনি হিসেবে।
৩৩. ‘ম্যানগ্রোভ‘ কী?
উত্তর:- লোনা পানি বা কাদার মধ্যে জেগে থাকা খুঁটির মত এক ধরনের শ্বাস গ্রহণকারী শিকড়বিশিষ্ট গাছকে ‘ম্যানগ্রোভ’ বলে।
৩৪. ‘ম্যানগ্রোভ’ কোথায় কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর:-সুন্দরবন ও কক্সবাজারের উপকূলীয় জলাভূমিতে।
৩৫. পৃথিবীর বৃহত্তম ‘ম্যানগ্রোভ’ বন কোনটি?
উত্তর:-বাংলাদেশের সুন্দরবন।
৩৬. টাইডাল বন কী?
উত্তর:- যে ভূমি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় আবার ভাটায় শুকিয়ে যায় তাকে টাইডাল বা জোয়ার ভাটার বন বলে।
৩৭. বাংলাদেশের কোথায় কোথায় টাইডাল বন অবস্থিত?
উত্তর:-খুলনা ও পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণাংশ উপকূলীয় বনভূমি ও সুন্দরবন এই শ্রেণীর বৃহত্তম বন]] তাছাড়া কক্সবাজারের চকোরিয়াতেও এই শ্রেণীর বন রয়েছে।
৩৮. সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য টাইডাল বন কোনটি?
উত্তর:-সংরক্ষিত চকোরিয়া বনাঞ্চল।
৩৯. পৃথিবীর বিখ্যাত টাইডাল বনভূমি কোনটি?
উত্তর:- সুন্দরবন।
৪০. কোন গাছকে সূর্যের কন্যা বলা হয়?
উত্তর:-তুলা গাছকে।
৪১. চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি বনাঞ্চলে কী কী বৃক্ষ জন্মে?
উত্তর:-গর্জন, জারুল, সেগুন, চাপালিস, গামার, বাঁশ প্রভৃতি।
৪২. বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর:-ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি।
৪৩. বিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি রয়েছে কোথায়?
উত্তর:-চট্টগ্রাম বিভাগে।
৪৪. বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে কম বনভূমি রয়েছে কোথায়?
উত্তর:-রাজশাহী বিভাগে।
৪৫. বর্তমানে দেশে বিভাগ অনুযায়ী বনভূমির পরিমাণ কত?
উত্তর:-চট্টগ্রাম বিভাগ ৪৩%, খুলনা বিভাগ ৩৮%, ঢাকা বিভাগ ৭%, সিলেট বিভাগ ৬%, বরিশাল বিভাগ ৩%, রাজশাহী বিভাগ ২%।
৪৬. পরিবেশ নীতি কত সালে ঘোষণা করা হয়?
উত্তর:-১৯৯২ সালে।
৪৭. পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্ব নাম কী?
উত্তর:-পরিবেশ দূষণ ও নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
৪৮. বন সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় কত সালে?
উত্তর:-বন আইন–১৯৯০ এবং বন আইন–২০০২।
৪৯. সিলেট বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কী কী?
উত্তর:-সেগুন, মেহগনি, জারুল ইত্যাদি।
৫০. মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ের আয়তন কত?
উত্তর:-৪,১০৫ বর্গ কি.মি.।
৫১. বাংলাদেশের কোথায় কোথায় রাবার বাগান রয়েছে?
উত্তর:- রামু, মধুপুর ও রাউজানে।
৫২. গজারী বৃক্ষ স্থায়ীভাবে কী নামে পরিচিত?
উত্তর:-শাল।
৫৩. ‘নেপিয়ার‘ কী?
উত্তর:- এক জাতীয় ঘাস।
৫৪. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী কোন জেলায় বনভূমির পরিমান কত?
উত্তর:-বাগেরহাট (২,৭০৫.৯৫ বর্গ কি.মি।
৫৫. চিরহরিৎ পাতাঝরা গাছ কোনগুলো?
উত্তর:- যেসব গাছের পাতা এক সঙ্গে ঝরে যায় না এবং পাতাগুলো চির সবুজ থাকে।
৫৬. চিরহরিৎ পাতাঝরা বনভূমিতে পাতাঝরা গাছ কি কি?
উত্তর:-গামারী, শিমুল, কড়ই, সেগুন, জারুল।
৫৭. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন কী?
উত্তর:-ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে সব গাছের পাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায়।
৫৮. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর:-ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, রংপুর ও দিনাজপুর।
৫৯. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমি কতভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তর:-দু‘ভাগে] মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি।
৬০. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনে কী কী গাছ পাওয়া যায়?
উত্তর:-কড়ই, হিজল, বহেরা, হরিতকি, কাঁঠাল, নিম।