বচন
বচন কাকে বলে ?
উত্তর:- ’বচন’ ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ সংখ্যার ধারণা ব্যাকরণে বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বলে বচন। কেবলমাত্র বিশেষ্য বা সর্বনাম শব্দের বচনভেদ হয়।
বচন কত প্রকার ও কী কী ?
বাংলা ভাষায় বচন দুই প্রকার। যথা:-
একবচন :- যে শব্দ দ্বারা কোনো প্রাণী, বস্তু বা ব্যাক্তির একটিমাত্র সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে একবচন বলে। যেমন:- সে এলো।মেয়েটি স্কুলে যায়নি।
বহুবচন :- যে শব্দ দ্বারা কোনো প্রাণী, বস্তু বা ব্যাক্তির একের অধিক অর্থাৎ বহু সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে বহু বচন বলে। যেমন :-তারা গেল। মেয়েরা এখনও আসেনি।
একবচন শব্দ :- টি, টা, খানা, খানি ইত্যাদি।
বহুবচন শব্দ :- রা, এরা, গুলা, গুলি, গুলো, দিগ, দের, প্রভৃতি যুক্ত হয় এবং সব,সকল,সমুদয়, কূল, বৃন্দ, বর্গ, নিচয়, রাজি, রাশি, পাল, দাম, নিকর, মালা,আবলি প্রভৃতি সমষ্টিবোধক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
উন্নত প্রাণিবাচক মানুষ্য শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয় :-
গণ ——— দেবগণ, নরগণ, জনগণ ইত্যাদি।
বৃন্দ ——— সুধীবৃন্দ, ভক্তবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ইত্যাদি।
মণ্ডলী ——- শিক্ষকমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ইত্যাদি।
বর্ণ ———- পণ্ডিতবর্গ, মন্ত্রীবর্গ ইত্যাদি।
অপ্রাণিবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচনবোধক শব্দ :-
পুঞ্জ ——— মেঘপুঞ্জ, দ্বীপপুঞ্জ, জাতিপুঞ্জ
মালা ——— পর্বতমালা, বর্ণমালা
রাশি ——— বালিরাশি, জলরাশি, ধুলিরাশি
রাজি ——— তারকারাজি, বৃক্ষরাজি,
আবলি ——- পুস্তকাবলি, পদাবলি, রচনাবলি, দীপাবলি
গুচ্ছ ——— কবিতাগুচ্ছ, কেশগুচ্ছ, গল্পগুচ্ছ
দাম ———- কুসুমদাম, শৈবালদাম, তৃণদাম
নিকর ——– কমলনিকর, রত্ননিকর
নিচয় ——— কুসুমনিচয়
মণ্ডল ——— বায়ুমণ্ডল
গ্রাম ———- গুণগ্রাম, স্বরগ্রাম
প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দে বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ :-
কুল ———- কবিকুল, পক্ষিকুল, মাতৃকুল, বৃক্ষকুল ইত্যাদি
সকল ——– পবৃতসকল, মনষ্যসকলইত্যাদি
সব ———– ভাইসব, পাখিসব ইত্যাদি
সমূহ ——— বৃক্ষসমূহ, মনুষ্যসমূহ ইত্যাদি